খেলার সংবাদ

২২ গজকেও ছড়ালো না করোনা।



কেমন কাটলো ক্রিকেটের ২০২০?

২০১৯ - এর শেষের দিক এবং ২০২০ সালের শুরুতে থেকে শেষ পর্যন্ত করোনার শঙ্কার মধ্যেই চলছিল ক্রিকেট। । ইংল্যান্ড-উইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে ফেরা জুলাইয়ে। বায়ো বাবল ছাড়াও কোভিড কালে নতুন নিয়ম বেঁধে দেয় আইসিসি। ব্যস্ত সূচির বেশিরভাগ ভেস্তে গেলেও অ্যান্ডারসন-ব্রডরা ছুঁয়েছেন মাইলফলক। তবে প্রকোপ বাড়ায় মার্চে ১১৭ দিনের নির্বাসনে যায় এই ভদ্রলোকের খেলা ।

তারপর সব কিছুর মতোই গোটা বিশ্বের ক্রিকেটেও ঝুলল তালা। স্থগিত আর বাতিলের খাতায় আন্তর্জাতিক অনেকগুলো সিরিজ। বছরের মেগা ইভেন্ট টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নারীদের আসর সুসম্পন্ন হলেও, নানা নাটকের পর ছেদ পড়লো পুরুষদের মাঠের লড়াইয়ে। সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানে দর্শক শূন্য মাঠে এশিয়া কাপের সম্ভাবনাও গেলো ভেস্তে।

কভিডের গ্রাস গোটা দুনিয়ার মতো ত্রাস খেলার মাঠও। তারপরও শঙ্কার মধ্যেই চলছিলো ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা আর অজি-কিউইদের দ্বি-পাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ। তবে শ্রীলঙ্কায় এসেও আর মাঠে নামা হয়নি ইংল্যান্ডের । মার্চে হঠাৎ বাড়লো প্রকোপ। অগত্যা ইংল্যান্ডে ফিরতে হলো রুটবাহিনীকে।

এরপর মরিচা ধরতে বসলো ক্রিকেটারদের মনে, তার মাঝেও স্বস্তি এল মে মাসে। বায়োসিকিউর বাবলের প্রবর্তন। জুলাইয়ে ইংল্যান্ড সফরে এল ক্যারিবিয়ানরা। ১১৭ দিনের বিরক্তিকর বিরতির পর মাঠে গড়ালো ক্রিকেটের বল। তবে নতুন কিছু নিয়মও তাদের সঙ্গী হল। টাকা কেবল কথা বলেছে আইপিএলের স্বার্থে। মার্চে স্থগিত হলেও ঠিকই অক্টোবরে রুদ্ধদ্বার টুর্নামেন্ট হয়েছে দুবাইয়ে।

সপ্তাহজুড়ে ছিল আলোচনার কেন্দ্রতে কারণ প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার কাছে লজ্জাকর ৩৬ রানে গুটিয়েছিল ইন্ডিয়া। তবে রাহানের নেতৃত্বে বক্সিং ডে টেস্টে অজিদের হারিয়ে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে ভারত।

এত অপয়ার মাঝেও ব্যক্তিগত মাইলফলক ছুঁয়েছেন দুই ইংলিশ পেসার। জেমস অ্যান্ডারসন ৬০০ আর ব্রড ফাইভ হান্ড্রেড উইকেট ক্লাবে খোদাই করেছেন নিজেদের নাম।

হঠাৎ করেই অবসরের সিদ্ধান্ত জানান ভারতের কিংবদন্তী উইকেটকিপ ও ব্যাটসম্যান মাহেন্দ্র সিং ধোনি। 
আর চলতি মাসেই অভিমানে বড় অকালে নিজেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরিয়ে নিয়েছেন পাকিস্তানি পেসার মোহম্মদ আমির।
আক্ষেপ কেবল একটাই। সবার ফেরা হলেও এখনও আন্তর্জাতিক সার্কিটে ফেরা হয়নি বাংলাদেশের। 



লিখেছেন: সোহেল রানা