Daily News.

ভোট চুরিতে বিএনপির সাথে কেউ পারবে না: এমন কথা বলেন ওবায়দুল কাদের ।




 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচ‌নের বার্ষিকীতে ৩০ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সারা‌দে‌শে ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ দিবস পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ।


দিনটি উপলক্ষ্যে বুধবার দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিডিও কন্ফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ওবায়দুল কাদের।


তিনি বলেন, “২০১৪ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচ‌নকে কেন্দ্র করে আগুন সন্ত্রাস করেছে বিএনপি। তারা সারা দেশে জ্বালাও-পোড়াও করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে ভোট ডাকাতিতে বিএনপির রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারবে না। তারা গণতন্ত্র নয়, ক্ষমতার রাজনীতি করেছে।


তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না , বিএনপি ক্ষমতার রাজনীতি করেছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন ।


বিএনপির যেকোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আন্দোলনের নামে কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি করিলে জনগণের সম্পদ রক্ষায় সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।”



আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, “আজকে যারা গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করে, ওরা কারা? তারা হলেন, ‘১০টি হোন্ডা, ২০টি গুণ্ডা-নির্বাচন ঠাণ্ডা’ এই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল।

“ওরা গণতন্ত্র বোঝে না, তাদের গণতন্ত্র হল হাওয়া ভবন সৃষ্টি। তাদের গণতন্ত্র হল স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করা। তাদের গণতন্ত্র হল দেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করা, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বাঁচানোর চেষ্টা করা।”


আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, “বাংলাদেশে বিএনপি বিরাজনীতি করণ করতে চেয়েছিল। তারা এ দেশে ধর্মভিক্তিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি হিসেবে যারা দেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করতে চায়, তাদের মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না।”


শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, “জননেত্রী শেখ হাসিনাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং এর ধারাবাহিকতা চলছে। আর বিএনপি এদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চায়। তাদের হাতে গণতন্ত্র কোনোদিনই নিরাপদ ছিল না এবং ভবিষ্যতেও নিরাপদ নয়। তারা গণতন্ত্র ধ্বংসের কারিগর।”


ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম ও উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি।


শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, “জননেত্রী শেখ হাসিনাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং এর ধারাবাহিকতা চলছে। আর বিএনপি এদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চায়। তাদের হাতে গণতন্ত্র কোনোদিনই নিরাপদ ছিল না এবং ভবিষ্যতেও নিরাপদ নয়। তারা গণতন্ত্র ধ্বংসের কারিগর।”